নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে নবম শ্রেণিতে বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) বিভাজন থাকছে না। এ বিষয়ে আজ (সোমবার) প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়ার পর সন্ধ্যায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর পত্র জারির মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিষয়টি জানায়। এতে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ অনুযায়ী মাধ্যমিক পর্যায়ে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম শ্রেণিতে বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) বিভাজন থাকছে না। বিষয়টি সকলকে অবহিত করা হলো।
জানা যায়, নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের নবম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর সব শিক্ষার্থীকেই বাধ্যতামূলকভাবে সাধারণ ১০টি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে।
এতদিন মাধ্যমিকে শিক্ষার্থীদের বিভাগভিত্তিক বিষয়ে অন্তত ৪০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে। রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানের পাশাপাশি উচ্চতর গণিত, জীববিজ্ঞান, কৃষি শিক্ষা ইত্যাদির মতো বিষয়গুলোর মধ্য থেকে যেকোনো একটিকে বাধ্যতামূলক ও একটিকে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে বেছে নিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
তবে বর্তমান শিক্ষাক্রমে বিজ্ঞান বিভাগের বিষয়গুলোকে একীভূত করে ১০০ নম্বরের ‘বিজ্ঞান’ হিসেবে পড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে থেকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণি এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমের পুরো বাস্তবায়ন শুরু হয়। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রাথমিকের দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং অষ্টম ও নবম শ্রেণি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম এবং মাধ্যমিকের দশম শ্রেণি নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় আসবে। আর উচ্চ মাধ্যমিকের একাদশ ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দে এবং দ্বাদশ শ্রেণি ২০২৭ খ্রিষ্টাব্দে নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় আসবে।
উল্লেখ্য, ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে সর্বশেষ জাতীয় শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন আনা হয়। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বাস্তবায়ন শুরু হয়। এর আগে বিভিন্ন সময় শিক্ষাক্রমে সামান্য পরিমার্জন করা হয়। তবে এবার শুধু পরিমার্জন নয়, শিক্ষায় রূপান্তর আনতে পাল্টে ফেলা হচ্ছে কারিকুলাম।